শ্যামনগর অফিসঃ “সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর বাজার থেকে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ”।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের উত্তর হাজিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার গাজীর পুত্র বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী রবিউল ইসলাম ওরফে খান এবং কুলতলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের বখাটে পুত্র মাদকসেবী আশিকুজ্জামান কে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ নূরনগর বাজার মসজিদ গলির একটি বেকারির কারখানা সংলগ্ন স্থান থেকে মাদক সেবন এবং বিক্রয়রত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হুদার নির্দেশে এসআই রিপন মলিক, এসআই মামুন, এসআই বিল্লাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারীকে গ্রেপ্তারপূর্বক থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারায় মামলা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে। গ্রেফতারের এই ঘটনায় এলাকায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে সাধারণ মানুষ। তবে এলাকায় আরো যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন
‘আমার যৌবনের ২৫ বছর ফিরিয়ে দেবে কে?‘
নীলাকাশ বার্তাঃ” বিনা দোষে বছরের পর বছর কারাদণ্ড ভোগ করার নজির রয়েছে বেশ কয়েকটি।
“সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এক মামলার তদন্তে মূল আসামীর নাম ও বাবার নামের সাথে মিল থাকায় অভিযুক্ত করা হয় আরেক ব্যক্তিকে।”
“পরে সেই ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আবেদন করলে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে।”
“দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত নিয়ে ঐ ব্যক্তির অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারতো।”
“সাম্প্রতিক সময়ে এরকম একটি আলোচিত মামলা ছিল জাহালমের ঘটনাটি, যিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের ভুল তদন্ত এবং এক ব্যাংক কর্মকর্তার ভুল সাক্ষ্যের কারণে তিন বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন।”
“পরে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে জাহালম নিরপরাধ।” পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পান জাহালম।”
“কোনো অপরাধ না করেও জীবনের একটা লম্বা সময় কেটেছে কারাগারে – সিনেমার কাহিনীর মত শোনালেও এরকম ঘটনা কিন্তু মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে আমাদের আশেপাশে।” “তদন্তে অনিচ্ছাকৃত বা ইচ্ছাকৃত ভুল, মিথ্যা সাক্ষ্যদান বা বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়া – এরকম নানা কারণে আদালত অনেক সময় ভুল রায় দিয়ে থাকেন, যার ফল ভোগ করতে হয় নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে।”
” সাম্প্রতিক সময়ে বিনা অপরাধে কারাভোগ করার কয়েকটি আলোচিত ঘটনা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।”
দু’হাজার তিন সালে সাতক্ষীরায় দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন ওবায়দুর রহমান, যিনি আবেদ আলী হিসেবে বেশি পরিচিত। ২০০৬ সালে আদালত ঐ মামলায় আবেদ আলীসহ আরো দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।”
“এরপর ২০১১ সালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে এবং আবেদ আলীকে খালাস দেয়। রাষ্ট্র পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন এবং পরবর্তী চার বছর ধরে শুনানি চলে মামলার।
আদালতের সিদ্ধান্তের পরও মুক্তি পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আবেদ আলীর।
সেই বছরের অক্টোবর মাসের যে দিন আবেদ আলীকে কারাগার থেকে খালাস করার রায়ের কপি কারাগারে গিয়ে পৌঁছায়, ঐ দিন তার কিছুক্ষণ আগে মারা যান আবেদ আলী।”
তিনি যে নির্দোষ, মৃত্যুর আগে সেই স্বীকৃতিটা পেলেও মুক্ত অবস্থায় একদিনও তিনি পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেননি।”
“এরপর ২০১৭ সালে তিনি যখন বেকসুর প্রমাণিত হন এবং তাকে খালাস দেয়া হয়, সেসময় তার বয়স ৪৩। অর্থাৎ, নিজের জীবনের কৈশোরের একাংশ, তারুণ্য এবং যৌবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছেন জেলে।”
“মজার ব্যাপার হলো, যে মামলায় ২৫ বছর কারাভোগ করেছেন বাবুল মিয়া, সেই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি হত ১০ বছর।”
বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণেই মূলত এই দীর্ঘসময় কারাগারে থাকতে হয় বাবুল মিয়াকে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উঠে আসে যে, ১৯৯৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৪ বছরে বিচার চলাকালীন সময়ে মামলার সাক্ষীদের অধিকাংশই সাক্ষ্য দিতে আসেননি। মামলার বাদী এবং তদন্ত কর্মকর্তাও কখনো আদালতে উপস্থিত হননি বলেও উঠে আসে প্রকাশিত খবরে।”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেল থেকে বের হয়ে বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের সামনে একটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সামর্থ্য ছিল না কারো।”
প্রশ্নটি ছিল: “আমার যৌবনের ২৫ বছর ফিরিয়ে দেবে কে?”,,,,,,,,,,,,,,,
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply