নীলাকাশ বার্তাঃ “দৃশ্যমান হয়েছে দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে চলছে বিরতিহীন কর্মযজ্ঞ।” প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, “ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের সংযোগ সহজ হবে, ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে এবং এ পথে ভ্রমণ আরামদায়ক হবে।”
সরেজমিন দেখা গেছে, “হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর, বনানী, মহাখালী অংশের প্রকল্পের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছে”। “তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর ও সায়েদাবাদ অংশের কার্যক্রম চলছে।”
জানা গেছে, “ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুরু হয়ে ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুতুবখালীতে শেষ হবে।” “এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।”
“সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিরতিহীন ভাবে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ।” “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।”
জানা গেছে, “প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি ট্রাঞ্চে ভাগ করা হয়েছে। ট্রাঞ্চ-১. এয়ারপোর্ট- বনানী -রেলস্টেশন পর্যন্ত।” ট্রাঞ্চ- ২. বনানী রেলস্টেশন- মগবাজার পর্যন্ত।” ট্রাঞ্চ- ৩. মগবাজার- চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত।” প্রথম ধাপের নির্মাণ কাজের ১ হাজার ৫০০টি পাইলের মধ্যে ১ হাজার ৩৪০টি পাইল, ৩৫০টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ৩২৪টি পাইলক্যাপ, ৩৫০টি কলামের ২৩৯টি কলাম, ৩৫০টি ক্রসবিমের মধ্যে ১২৮টি সম্পন্ন হয়েছে”। ৩ হাজার ১৫৪টি আইগার্ডারের মধ্যে ২২৪টি সম্পন্ন হয়েছে যার বাস্তব অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ।”
“ট্রাঞ্চ ২ ও ট্রাঞ্চ ৩-এর প্রস্তুতিমূলক কাজের অংশ হিসাবে ওয়ার্ক শেড নির্মাণ, মিক্সিং প্ল্যান্ট নির্মাণ, লেবার শেড এবং সয়েল ইনভেস্টিগেশনের কাজ চলছে।” প্রথম ধাপে এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে বনানী পর্যন্ত যাবে।” এ রুটের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার”। পাইল ক্যাপও বসে গেছে”। এখন পাইল ক্যাপের ওপর দিয়ে বসানো হচ্ছে আই গার্ডার।” এরপরই আই গার্ডারের ওপরে বসবে স্ল্যাব। স্ল্যাবের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে চলাচল করবে যানবাহন।”
“এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর- দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসাবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর- কদমতলী- নিমতলী- সিরাজদিখান- মদনগঞ্জ- ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়ক- মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।”
“অন্য দিকে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে”। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমবে।”
সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (আরএসটিপি) তথ্যানুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েটিতে ১১টি টোল প্লাজা থাববে। যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের উপরে।” এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। যোগাযোগ ব্যয় ও ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। কমবে ভ্রমণের সময় ও খরচও। যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজীকরণ ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি এ প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।”
নীলাকাশ বার্তাঃ “চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫২ প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।” শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর, দুপুর ১২টায় রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল এবং দুপুর ২টায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে থাকা পৌরসভার প্রার্থীদের গুলশান কার্যালয়ে থেকে ‘দলীয় প্রত্যায়নপত্র’ হস্তান্তর করা হবে।”
“শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।” এ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” বাকি ৪ পৌরসভায় মেয়র পদে শনিবারের মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে দলটির।”
“৫২টি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন পেলেন যারা- ঠাকুরগাঁও সদরে শরিফুল ইসলাম শরিফ, ঠাকুরগাঁও রানীশংকইলে মোঃ মাহমুদুননবী, লালমনিরহাট সদরে মোশারফ হোসেন রানা, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে একেএম মোস্তাফা সালাউজ্জামান ওপেল, জয়পুরহাট আক্কেলপুরে আলমগীর চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ওজিউল ইসলাম, রাজশাহীর নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহীর তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, রাজশাহীর তাহেরপুরে আবু নাঈম সামসুর রহমান (মিন্টু), নাটোরের বড়াইগ্রামে ইসাহাক আলী, নাটোর সদরে জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শাহাজাহান কবীর, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মীর মহিউদ্দিন।
যশোরের চৌগাছায় আব্দুল হালিম, যশোরের বাঘারপাড়ায় আব্দুল হাই মনা, বাগেরহাট সদরে সাইদ নিয়াজ হোসেন, সাতক্ষীরা সদরে তাজকিন আহমেদ, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হুমায়ুন কবির, বরিশালের মুলাদীতে মো. আল মামুন, বরিশালের বানারীপাড়ায় রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আলী আকবর, জামালপুরের মেলান্দহে মনোয়ার হোসেন, শেরপুর সদরে এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, শেরপুরের শ্রীবরদীতে আব্দুল হাকিম, নেত্রকোনা সদরে আব্দুল্লাহ্ আল মামুন খান।
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply