নীলাকাশ বার্তাঃ “শুধু লটারিতেই শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা নিতে দেশের বেসরকারি স্কুলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল রোববার জারি করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।”
“চিঠিতে বলা হয়েছে, লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।” লক্ষ করা যাচ্ছে, ঢাকা” মহানগরীর কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২১ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত। “এ অবস্থায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করে প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছে মাউশি।”
“এর আগেও এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। বেসরকারি হাইস্কুলের উদ্দেশে গত ডিসেম্বরে মাউশির আগের সেই চিঠিতে মোট ৫ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে; স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে; লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিশ্চিত করতে হবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে; সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“এদিকে দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যেসব ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী বয়স–সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবেদন করতে পারেনি, তারা ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করার সময় পাচ্ছে। উচ্চ আদালতে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের সময় বাড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর”। “একই সঙ্গে স্থগিত হওয়া ভর্তির লটারি হবে ১১ জানুয়ারি। আগের সময় অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়। আর ৩০ ডিসেম্বর অনলাইন লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের কথা ছিল। এত দিন কেবল প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।’ কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণির মতো সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।”
নীলাকাশ বার্তাঃ ”
এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ ব্যাংক হিসাবে সরাসরি বেতন-ভাতা পৌঁছে দেবে সরকার। তবে ৯টি তথ্য না দিলে শিক্ষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হবে না। গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ–সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও-এর অর্থ জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে পাঠানো হবে। শিক্ষক-কর্মচারীর টাকা প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও-এর অর্থ দেওয়ার জন্য তাঁদের ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ইতিমধ্যে অনলাইনে এমপিও সিস্টেমে প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমপিও-এর অর্থ ইএফটির মাধ্যমে পাঠাতে সঠিক তথ্য প্রয়োজন।
আদেশে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে
১) শিক্ষক- কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
২) এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর নাম (এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী এমপিওশিট, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম একই রকম হতে হবে)।
৩) যাঁদের এসএসসি ও সমমানের সনদ নেই, তাঁদের সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (এমপিওশিট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম একই রকম থাকতে হবে)।
৪) ব্যাংক হিসাবের নাম শিক্ষক-কর্মচারীর নিজ নামে থাকতে হবে।
৫) ব্যাংকের নাম, শাখার নাম ও রাউটিং নম্বর।
৬) শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর (অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৩ থেকে ১৭ ডিজিট)।
৭) শিক্ষক-কর্মচারীর জন্মতারিখ।
৮) শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন কোড ও বেতন কোডের ধাপ।
৯) শিক্ষক-কর্মচারীর মোবাইল নম্বর।
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply