ডেস্ক রিপোর্টঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বংশীপুর মল্লিকপাড়া জামে মসজিদ সংযুক্ত বাড়ির এক মেয়ে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মসজিদের মুসল্লীরা উক্ত বাড়ি ভেঙে দেওয়ার জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
মসজিদের সভাপতি এমএম মুজিবুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মসজিদ সংযুক্ত বাড়ির মেয়েদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ এর অভিযোগে মুসুল্লিরা ক্ষিপ্ত, ওই মেয়েটি অবৈধ ভাবে গর্ভে সন্তান ধারন করে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক বার অভিযোগ উঠে। মেয়েটি কিছুদিন আগে আবারও অন্তঃসত্ত্বা হয়। সন্তান নষ্ট করার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ঘটনাটি জানাজানির পরে মুসুল্লিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের সভাপতি মুজিবুল হক সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শুকুর আলী টাকা দিয়ে উক্ত পরিবারটিকে অন্য জায়গায় হস্তান্তর করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর ফলে মসজিদের মুসল্লিসহ গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
যেকোনো সময় একটা অঘটন ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
মসজিদের সভাপতি ঘটনাটি নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এডভোকেট শুকুর আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “উক্ত পরিবারটির বিরুদ্ধে অনেকবার এই ধরনের অভিযোগ এসেছে, আমরা চেষ্টা করছি কিছু টাকা দিয়ে মসজিদের পাশ থেকে তাদেরকে অন্য এলাকায় বসবাসের ব্যবস্থা করার জন্য।
আরও পড়ুন
শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভিতর থেকে সর্বশেষ লাশ উদ্ধারে সংখ্যা
নীলাকাশ বার্তাঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ১৮ ঘণ্টা পর টেনে তোলার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। লঞ্চটির ভেতর থেকে ২১টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এই লঞ্চডুবিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
সংবাদ মাধ্যমগুলতে সরাসরি প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, “মাঝ নদী থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি টেনে পারের দিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ সময় আশে পাশে ভিড় করে স্থানীয় লোকজন। উদ্ধার কর্মীদের পাশা পাশি লঞ্চটি তোলার পর সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজে নেমে আসে স্থানীয়রা। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, “ক্রেন দিয়ে উল্টো করে ঝোলানো লঞ্চটিতে মানুষের দেহ আটকে রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান গোলাম মোঃ সাদেক পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টেনে তোলার পর লঞ্চটি থেকে ২১টি মরদেহ বের করে আনা হয়। এর আগে আরো ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানান। লঞ্চটির ভেতরে আর কোন মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সাবিত আল হাসান নামে এই ছোট লঞ্চটি রবিবার নারায়ণগঞ্জের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। সাদেক বলছেন, মালবাহী জাহাজটিকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
তবে স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে লঞ্চটিকে ধাক্কা দেবার এবং ডুবে যাওয়ার দৃশ্য সম্বলিত একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। এতে দেখা যায় মালবাহি জাহাজটি নদীর মাঝ বরাবর দিয়ে ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বেশ কিছুটা দূর নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে নদীতে নিমজ্জিত হয় লঞ্চটি। ভিডিওটি নিরপেক্ষ ভাবে আমাদের পক্ষ থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কর্মকর্তারা বলছেন, “লঞ্চটিতে ৪৫ জনের মত যাত্রী ছিল। এর মধ্যে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন সাঁতরে নদীর তীরে এসে প্রাণ রক্ষা করেছেন।
মৃতদেহ গুলো উদ্ধারের পর সেগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হজস্তান্তর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
গোলাম মোঃ সাদেক বলেন, “এ ধরণের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনেক সময় কয়েক দিন পর মরদেহ ভেসে উঠে। সে ক্ষেত্রে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা গেলে তা প্রশাসনকে জানাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারী জানিয়েছিলেন, ভোররাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও লঞ্চটিকে অর্ধেকের বেশি তোলা যায়নি। কর্মকর্তারা বলছিলেন, ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যার কারণে লঞ্চটিকে কিছুদূর ওঠানোর পর আবার ডুবে যাচ্ছিল।
সকাল থেকে লঞ্চটি আবার টেনে তোলার কাজ শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুরন্তের আঠারো ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা সাড়ে বারোটার দিকে লঞ্চটিকে টেনে তোলা হয়। টেলিভিশনে সরাসরি এই উদ্ধার অভিযান দেখা যায়। তুলে আনার সময় একটি ক্রেন থেকে উল্টো করে ঝুলে থাকতে দেখা যাচ্ছিল লঞ্চটিকে।
লঞ্চটিকে উদ্ধার করতে নিয়োগ করা হয়েছিল দমকল, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে।
উদ্ধার চলাকালে নদীর দুই তীরে বহু উৎসুক মানুষ জড়ো হয়। এদের অনেকেই ছিলেন নিখোঁজদের স্বজন। তারা হাহাকার করছিলেন।
স্বজনেরা অভিযোগ করছিলেন, উদ্ধার অভিযানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তারা এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোঁড়ে।
শীতলক্ষ্যা নদীতে কয়লাঘাট এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সেতুর কাছে লঞ্চটি ডুবে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঘটনাস্থলে বেড়েছে নিখোঁজদের স্বজনদের উপস্থিতিও। তাদের অভিযোগ, লঞ্চটি উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
রোববার সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টার দিকে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায়, এবং এ সময় নদীতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ।
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply