শেখ আব্দুস সালাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার আজ সোমবার সকাল থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে সারাদেশে লক ডাউন দিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে। তবে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে খেটে- খাওয়া মানুষেরা যারা প্রয়োজনে স্থানীয় বা সরকারের অনুমোদিত এনজিও গুলোর থেকে লোন নিয়েছে তারাই পড়েছে বিপাকে।
মরার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিনত হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন, এনজিওর কর্মীরা জোর করে টাকা আদায় করছে। যদিও তারা বলছে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কিস্তি বন্ধের নিদর্শনা জারি করা হয়নি। তবে এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে কেউ কেউ বলেছেন, হয় এনজিও কিস্তি বন্ধ করা হোক না হলে লক ডাউন দিয়ে আমাদের কেন বিপদে ফেলা হচ্ছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, এনজিও কর্মীরা বলছে যদি গ্রাহকরা ঠিক মত কিস্তি পরিশোধ না করেন তাহলে পরবর্তীতে তাদের আর লোন দেওয়া হবে না। এই ভয়ে কেউ কেউ মহাজনী চড়া সূদে টাকা নিয়ে এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করবেন বলে এই প্রতিবেদকে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ের সরকারের উপর মহলের দৃষ্টি আকার্ষণ করেছেন সাধারণ ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুন
প্রবল বর্ষণে আকস্মিক বন্যা, অর্ধ শতাধিক নিহত
নীলাকাশ বার্তাঃ ইন্দোনেশিয়া এবং পূর্ব তিমুরে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অর্ধ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
টানা ভারী বর্ষণ এবং এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে রবিবার ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি ও এএফপির।
এই ঘটনায় প্রচণ্ড বৃষ্টিতে নদীর তীর এবং বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ পূর্ব তিমুরেও এ বন্যা দেখা দিয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাদিত্য জ্যোতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বন্যা ও ভূমিধসে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে । উদ্ধার কর্মীরা এ পর্যন্ত ৪১ জনকে উদ্ধার করেছেন। বন্যায় ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৯ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।
অপর দিকে পূর্ব তিমুরে বন্যায় ১১ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানেও হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাস থামিয়ে যাত্রী পেটাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
নীলাকাশ বার্তাঃ বিক্ষোভ কারীদের নয়, এবার বাস থেকে নামিয়ে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার শুরু করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর লোকজন। শুক্রবার দেশটির ইয়াঙ্গুনের ওক্কালাপা শহরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, জান্তারা বাস থামিয়ে বলপূর্বক টেনে হিঁচড়ে যাত্রীদের নামিয়ে লাঠি দিয়ে অমানবিক ভাবে আঘাত করেছে এবং প্রবল ভাবে লাথির পর লাথি মেরেছে। এই খবর দিয়েছে ইরাবতী নামে একটি সংবাদ মাধ্যম।
উত্তর ওক্কালাপা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থুধামায় চলতে থাকা ইয়াঙ্গন বাস সার্ভিসের গাড়িগুলোকে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তার পাশে থামাতে দেখা গেছে । এরপর সেনা সদস্যরা বাসের ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের ধরে ধরে জোর পূর্বক টেনে হিজড়ে নিচে নামায়।
ওদেরকে ‘নিল ডাউন’ করতে বলা হয়, শুরু হয় অত্যাচার। শুধু যাত্রীদের পিটিয়েই ওরা ক্ষান্ত হচ্ছে না, বাসের চালকসহ অন্য কর্মীদেরও তারা এই অত্যাচার নির্যাতন থেকে রেহাই দিচ্ছে না।
এ ঘটনার পর থেকে খবর পেয়ে ওই বাসগুলো গন্তব্যে যেতে অন্য রাস্তা ব্যবহার করতে শুরু করে। চালকদের রুট পরিবর্তনের খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা আবাসিক ওয়ার্ড গুলোতে চিৎকার করতে করতে গুলি চালাতে থাকে।
এ সময় এলাকায় কী ঘটছে, তা দেখতে ঘর থেকে বের হয়েই বিপদে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। এদের ধরতেই সেনা সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের বাড়ির ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে।
বাসে থাকা আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “সেনারা প্রথমে বাস চালককে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এরপর পুরুষ যাত্রীদের লাথি দিতে থাকে আর বলে- যুদ্ধ কর আমার সঙ্গে। মহিলা যাত্রীদের চুল ধরে টানাটানি করে এবং গালে থাপ্পড় মারতে থাকে।”
“শনিবার পর্যন্ত জান্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ইরাবতী। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৫৫৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে তারা।”
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply