নীলাকাশ বার্তাঃ শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে থাকা ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে ছাড়া ছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তাকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন হেফাজত কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক।
শনিবার রাত ১০টার পর ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক দাবি করেন, “ওই নারীর আগের স্বামী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।” স্বামীর সঙ্গে ছাড়া ছাড়ি হয়ে যাওয়ার অনেক দিন পর তিনি তাকে বিয়ে করেছেন।”
“এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই হাফেজ মাহমুদ, হাফেজ মাহবুব ও মাওলানা মাহফুজুল হক।”
“ফেসবুকে লাইভে দেওয়া বক্তব্যে মামুনুল হক বলেছেন, “টানা পরিশ্রমের কারণে আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল”। “এ কারণে সেখানে গিয়েছিলাম। “সঙ্গে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। পুলিশ আমার থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ছিলেন। তাদের দুটি সন্তানও আছে। এরপর পারিবারিক ভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।”
“এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মাওলানা মামুনুল হক। তার অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হয়।” এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে”। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
আরও পড়ুন
কালো বোরকা ঘণ্টার মধ্যে নীল হয়ে গেলো!
নীলাকাশ বার্তাঃ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক টপ অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছে। ইতিমধ্যে তার একটি ঘটনা ফেসবুকে ব্যাপক আকারে ভাইরাল হয়ে ঘুরছে। যতটুকু জেনেছি বা শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাধে, হেফাজত নেতা মাহমুনুল হক নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে থাকা অবস্থায় যুবলীগ এর কয়েকজন গিয়ে এক মহিলা সহ অবরুদ্ধ করে এর পর পুলিশ প্রশাসন আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে, হোটেলের ভিতর গিয়ে এভাবে আটক করা কি যুবলীগের দায়িত্ব ? যদিও অপরাধী ই হয় পুলিশকে খবর দিলোনা কেন? নাকি ঐ এলাকার যুবলীগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ পেয়েছে?
সূত্রে জানা যায়, প্রথমে যখন হোটেলে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যায় তখন একটা লাইভ চলে সেই টাতে দেখা যায় মামুনুল হকের সাথের নারী কালো বুরকা পরা চোখে চশমা। এর পর থেকে শুরু হয়েছে একের পর এক ভিডিও অডিও ফাঁস।
মামুনুল হকের সাথের নারী স্ত্রী নাকি অন্য কেউ সেইটা সেই প্রশ্নের চেয়ে, বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হোটেল কক্ষের সামনে ঐ নারী ও মামুনুল হক নারীর পরনে কালো বোরকা নেকাব করা চোখে চশমা।
এর মধ্যখানে কিভাবে একজন নারী নীল কালারের বোরকা পরা ভিডিওতে কথা বলছেন নেকাব ছাড়া চোখে চশমা নাই ছবি। সেইম ভাবে ছবিটাও কিভাবে হয় মামুনুল হকের সাথে থাকা ঐ নারীর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বলেছেন ভাববার বিষয় সাথে কয়টা বোরকা ছিল?
ভিডিওটা দেখলাম একজন সাদা পোশাকধারী নারী ইন্টারভিউ নিচ্ছেন যদি সত্যি ও হয়ে থাকে এবং ঐ নারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ হয়ে থাকেন তাহলে কি এই ফুটেজ ভাইরাল করার কোন আইন আছে ? আরেকজন বলেছেন, “তবে আমি পুরোপুরি সন্ধিহান কারন বোরকার দুই রং দেখে মেনে নিলাম নীল কালারের বোরকা বদলেছেন তাহলে এই পরিস্থিতিতে বাহির হবার সময় আবার কালো বোরকা বদলানোর মত সময় বা মন মানসিকতা কি থাকতে পারে?
তবে আসল ঘটনা যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক এটাই সকলের চাওয়া। তদন্তে যদি উনাকে অপরাধী না বলা হয়, সেক্ষেত্রে ওখানেই যারা তাকে অপমান করেছেন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন
অভয়নগরে ২৫ টাকার জন্য ভ্যান চালককে পিটিয়ে হত্যা!
নীলাকাশ বার্তাঃ যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় পাওনা সামান্য ২৫ টাকা না দেওয়ায় শুকুর আলী (৫৫) নামে এক ভ্যানচালককে রেঞ্জ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধোপাদি গ্রামের দপ্তরিপাড়ায় টিটু ফকিরের গ্যারেজে উক্ত হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শুকুর আলী ধোপাদি গ্রামের দপ্তরিপাড়ার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই মকবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, “শনিবার সন্ধ্যার দিকে ধোপাদি গ্রামের দপ্তরিপাড়ার টিটু ফকিরের গ্যারেজের সামনে গেলে শুকুর আলীর কাছে পাওনা ২৫ টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।
” এক পর্যায়ে ইদু ফকিরের ছেলে টিটু ফকির আমার ছোট ভাই শুকুরকে রেঞ্চ দিয়ে মাথায় আঘাত করে।” এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।”
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা শুভ্রপ্রসুন মুখার্জী বলেছেন, “মৃত অবস্থায় ভ্যান চালক শুকুরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।”
অভয়নগর থানার ওসি তদন্ত মিলন কুমার মণ্ডল বলেছেন, “সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply