নীলাকাশ বার্তাঃ “এই সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।”
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন , “বিএনপির এমন হুমকি-ধমকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি।” তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার ইতো মধ্যে একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে, জনগণ এখনও কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি রাজপথে।”
তিনি আরও বলেন,” ক্ষমতায় থাকা কালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনও তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ -বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছে, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কিনা সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে।”
তিনি বলেন, “প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে, আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে; অথচ ‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন
কলারোয়ায় চাঞ্চল্যকর চার হত্যা, নবম দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন
নীলাকাশ বার্তাঃ “সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলসি গ্রামের চাঞ্চল্যকর নিষ্ঠুরতার চার হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে।”
” লোমহর্ষক, নির্মম, বর্বরতায় পূর্ণ চাঞ্চল্যকর উক্ত হত্যা মামলা দ্রুততার সাথে পরিচালিত হওয়ায় দৃশ্যত, বাদী, হত্যাকান্ডের শিকার চার জনের আত্মীয়স্বজন সহ শোকাহত এলাকাবাসির মাঝে সন্তোষ বিরাজ করছে।
” বৃহস্পতিবার ছিল মামলার নবম দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহনের দিন। জব্দ তালিকার দুই সাক্ষী মোঃ আব্দুস সাত্তার ও মোঃ আলমগীর হোসেনের জবানবন্দী ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চৌদ্দজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন করলেন বিজ্ঞ আদালত।” “আগামী নয় মার্চ পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারিক আদালত। সাম্প্রতিক সময়ে এই হত্যা দেশজুড়ে আলোচনায় রয়েছে। আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর চার হত্যা কান্ডের ঘাতক রায়হানুর রহমান গত পনের অক্টোবর গভীর রাতে নিজ বড় ভাই শাহিনুর গাজী ৪০, ভাবী সাবিনা ইয়াসমিন (৩০), এবং অবুঝ ভাইপো সিয়াম হোসেন (১০) ও ভাইজি তাছলিমা (৭) কে কুপিয়ে হত্যা করে।” হত্যাকান্ডটি এতটুকু হৃদয় বিদারক ছিল যে দুই অবুঝ শিশুর লাশ প্রত্যক্ষ করে হাজারো মানুষ কেঁদেছে।” যারা নিহত শাহিনুর গাজীর আত্মীয় নয় তারাদেরও চোখের পানি ঝরছিল, শোকার্ত, মর্মাহত, ক্ষুদ্ধ জনসাধারন এর দাবী ছিল দ্রুত বিচার।” “সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ দ্রুত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করায় শোকাহত জনগোষ্ঠী দৃশ্যতঃ খুশি”। বৃহস্পতিবার নবম দিনের মত সাক্ষ্য গ্রহনের ধার্য্য দিনে অন্যান্য দিনের ন্যায় আদালত চত্বরে উৎসুক জনগনের ভিড় ছিল লক্ষনীয়।”
“নিরাপত্তা সহ বিধি বিধানের কারনে এজলাস কক্ষে জনসমাগমের যথাযথ সুযোগ না থাকায় এই মামলার খোজ খবর জানতে আদালত চত্বরে শোকাহত লোকজনের উপস্থিতি লেগেই থাকে”। মামলাটির বিচারকার্যে কেবল রাষ্ট্রপক্ষ নয়, আসামী পক্ষের আইনজীবীরাও যথাযথ সুযোগ পাচ্ছে”।
” প্রতিটি ধার্য্য দিনে প্রত্যক্ষ করে চলেছেন সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদান, কাঠগড়ায় আসামীর উপস্থিতি, জবানবন্দী, জেরা, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বিচারিক কার্যক্রম অংশ গ্রহন সব কিছুই কেবল দ্রুত বিচারকে এগিয়ে নিচ্ছে তা নয়, ন্যায় বিচারের ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে, রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন বিজ্ঞ পিপি আব্দুল লতিফ।”
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply