কলারোয়া প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক নারী ও যুবকের রহস্যজনক ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত নিহতের স্বামী ও তার ছোট দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।”
“সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর সদরের শ্রীপতিপুর নিহতের বাড়ি সংলগ্ন পাঁচিলের পাশে থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রড ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।” আটককৃতরা হলেন- নিহত ফাতেমার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী শেখ আহসান ও তার আপন ছোট ভাই শেখ আসাদ।”
‘এ ঘটনায় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “নিহত ফাতেমার সাথে দীর্ঘঃদিনের পরকীয়া সম্পর্কে ছিল শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পারের ছেলে নিহত করিম পারের সাথে”। ঘটনার দিন রাতে নিহত ফাতেমার শ্বশুরবাড়ি পরিত্যক্ত এক কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় দুজনকে দেখেন তার স্বামী।”
তিনি বলেন, “নিহত ফাতেমার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী ও তার ছোট দেবর আসাদের সহযোগিতায় প্রথমে দুজনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।” পরে নিহত ফাতেমার গায়ে ব্যবহৃত কালো রঙের ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় বেঁধে দুজনকে এক আম গাছে নাটকীয়তা সাজাতে তাদের ঝুলিয়ে রাখে।”
“এ ঘটনায় নিহত করিমপারের বাবা জয়নাল পার একটি মামলা দায়ের করেন”। তারই প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার ভিতরে ঘটনায় জড়িত থাকা প্রধান ২ আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।” তাদেরকে হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর এলাকা থেকে মহিলা ও যুবকের রহস্যজনক ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করছে বিএনপি”
নীলাকাশ বার্তাঃ “দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তৃতীয় কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি।”
“সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।”
“সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। “দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা সমাবেশে বিভিন্ন স্লোগান দেন।”
“সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।”
“বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তাদের আটকের চেষ্টা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মির্জা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন
“মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছে” ধর্মঘট করছেন পেশাজীবী ও শ্রমিক”
আন্তর্জাতিক বার্তাঃ “মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ- বিক্ষোভের অংশ হিসেবে পেশাজীবী ও শ্রমিকরা আজ দেশজুড়ে ধর্মঘট পালন করছে।”
দেশটির রাজধানী নেপিডোতে পুলিশ আজ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে, এবং রাষ্ট্রীয় টিভিতে সতর্ক করে দেয়া হয় যে বিক্ষোভকারীরা “জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের” প্রতি হুমকি সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে শহরগুলোর রাস্তায় তিন দিন ধরে বিক্ষোভ অব্যহত রয়েছে ।
অনেকগুলো শহরে ছোট-বড় বিক্ষোভ
সোমবার সকালে রাজধানী নেপিডো, ইয়াঙ্গন এবং মান্দালয় সহ নানা শহরে বহু লোক রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন সরকারি চাকুরে, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার বিবিসিকে বলেন, “আজ আমরা পেশাজীবীরা এটাই দেখাতে চেয়েছি যে একনায়কতন্ত্রের পতনের দাবিতে আমরা সবাই এক।”
একজন পোশাক শ্রমিক “নিন তাজিন” বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমাদের বেতন কেটে নেয়া হলেও আজ আমরা কাজে যাচ্ছি না।”
“বিক্ষোভে কিছু মানুষের আহত হবার খবর পাওয়া গেলেও কোন সহিংসতা ঘটেনি।”
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণবিহীন দাবি করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। মিস সু চি সহ বে-সামরিক রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করা হয়।
সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং এখন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু তা সত্বেও রোববার প্রায় লাখখানেক লোক ইয়াঙ্গনের রাস্তায় নেমে আসে।
সোমবার অবশ্য অনেক জায়গাতেই ইন্টারনেট সেবা ফিরে এসেছে।
DEVELOPED BY - ANOWARULBD.ME
Leave a Reply